প্রবন্ধ রচনার তালিকা ৪০০+টি এবং প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম সম্পর্কে। ইতিমধ্যে তোমরা সকলেই জানো যে বাংলা হয় পত্রে প্রবন্ধ রচনা তোমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ একটি প্রবন্ধ রচনার মধ্যে ১৫ মার্ক নাম্বার থাকে। তাই প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানা তোমাদের সকলের অতি গুরুত্বপূর্ণ।

প্রবন্ধ রচনার তালিকা ৪০০+টি

আর তোমাদের সকলের কথা চিন্তা করে আমরা আজকের পোস্টের মধ্যে প্রবন্ধ কি, প্রবন্ধ রচনার কৌশল, প্রবন্ধ রচনার কাঠামো, প্রবন্ধ রচনা লিখতে কোন কোন দিক মাথায় রাখতে হবে এবং প্রবন্ধ রচনার দক্ষতা আসবে যেভাবে সেই সকল বিষয় তোমাদের সাথে শেয়ার করব। একই সঙ্গে আজকের এই পোস্টের মধ্যে তোমরা তোমাদের পরীক্ষার জন্য সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ রচনার তাকিলাটিও পেয়ে যাবে। সুতরাং প্রবন্ধ রচনা লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে এবং গুরুত্বপূর্ণ রচনার তালিকা পেতে সম্পূর্ণ পোস্টটি জুড়ে আমাদের সাথেই থাকো 

পোস্ট সূচিপত্র:

প্রবন্ধ কী

প্রবন্ধের সংজ্ঞা নানা সমালোচকের দৃষ্টিতে নানাভাবে রূপায়িত হয়েছে। সাধারণত কল্পনা ও বুদ্ধিবৃত্তিকে আশ্রয় করে লেখক কোন বিষয়বস্তু সম্বন্ধে যে আত্মসচেতন নাতিদীর্ঘ লেখ্যরূপ সৃষ্টি করেন তাকেই প্রবন্ধ বলা হয়। প্রবন্ধ বলতে প্রধানত শৃঙ্খলাবদ্ধ যুক্তি- চিন্তা ও ভাবসমৃদ্ধ গদ্য রচনাকে বোঝায়। প্রবন্ধের ভাষা ও দৈর্ঘ্য সম্বন্ধে বৈচিত্র্য থাকলেও তা সাধারণত গদ্যে এবং নাতিদীর্ঘ করে লেখতে হয় । প্রবন্ধ পদ্যে লেখা যাবে না, এমন কথা বলাও সংগত হবে না।

কিন্তু সহজ ও স্বাভাবিক বলে গদ্যে লেখবার রীতিই সর্বদেশে গৃহীত। প্রবন্ধ সাধারণত ক্ষুদ্রাকৃতির হয়; কিন্তু প্রয়োজন হলে তা দীর্ঘতর পুস্তকাকৃতির রূপও গ্রহণ করতে পারে। অতএব, প্রবন্ধের আত্মপরিচয় প্রসঙ্গে বলা যায় যে, সাধারণত কল্পনা ও বুদ্ধিবৃত্তি অবলম্বন করে লেখক যখন কোন ভাব বা বিষয় যুক্তিযুক্ত ও সংগতভাবে বা পরিপাটিরূপে গ্রন্থন করেন এবং প্রধানত সরল গদ্যরীতিতে ও দীর্ঘ বা অনতিদীর্ঘ পরিসরে তার প্রকাশভঙ্গি নিয়মিত করেন, তখনই তাকে প্রবন্ধ নামে অভিহিত করা যেতে পারে।

প্রবন্ধ রচনার কৌশল

  • মা-লা গাঁ-থ-তে হলে যেমন নানা রকম ফুল সংগ্রহ করতে হয় প্রবন্ধ রচনা করতে হলেও নানা চি-ন্তা-ভাব-না ও তথ্য যোগাড় করতে হয়। কোনো বিষয়ে প্র-বন্ধ লিখতে হলে সে বিষয়ে যে সব চিন্তা ও তথ্য মাথায় আসে সেগুলো সংকেত সূত্র হিসেবে প্র-থমে খসড়া-ভাবে টুকে রাখতে হয়। ঐ বিষয়ে প্রা-সঙ্গিক কোনো বই, পত্র-পত্রিকা, শিক্ষক-শিক্ষিকা, মা-বাবা বা অন্য কারো সঙ্গে আলো-চনা করে তথ্য সং-গ্রহ করে তাও টুকে রাখতে হয়। এগুলো হলো তোমার প্র-বন্ধ রচনা-র উপকর-ণ
  • মা-লা গাঁ-থা-র সময় যেমন এক এক রঙের ফুল-কে অন্য রঙের সঙ্গে মিলিয়ে সাজা-তে হয়; তেমনই প্র-বন্ধ লেখার সময় প্র-বন্ধের এক একটা দিককে গুরুত্ব অনুযায়ী সাজাতে হয়। প্র-বন্ধ লেখার আগে তাই তোমার এলোমেলো সংকেত-সূত্র-গুলো ধারাবাহিক-ভাবে সাজিয়ে নেবে।
  • প্র-বন্ধ রচনার একটা সাধারণ কাঠামো রয়েছে। এর তিনটি অংশ : ভূমিকা, মূল অংশ ও উপসংহার। প্রবন্ধ রচনার সময় এই কাঠামো অনুসর-ণ করা দরকার ।

প্রবন্ধের কাঠামো বা প্রবন্ধের অংশ ভাগ

একটি সার্থক শিল্পসফল প্রবন্ধের সাধারণত তিনটি অংশ থাকে। যেমন : ১. ভূমিকা বা সূচনা বা প্রস্তাবনা; ২. মূল অংশ বা গর্ভাংশ এবং ৩. উপসংহার ।

  • ১. ভূমিকা বা সূচনা : প্রবন্ধের প্রারম্ভিক অংশ হচ্ছে ভূমিকা বা সূচনা বা প্রস্তাবনা। এটি প্রবন্ধের গৌরচন্দ্রিকা বা মুখবন্ধ বিশেষ। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ কেননা বিষয়গত ভাবের প্রতিফলন ঘটে এ অংশে। ভূমিকার মধ্যেই প্রবন্ধের মূল বিষয়ের সাধারণ ধারণা পাওয়া যায় । তাই এই অংশটি সাবলীল ভাষা ব্যবহারের মাধ্যমে পাঠকের হৃদয়গ্রাহী করে তুলতে হবে। এখানে যাতে অপ্রাসঙ্গিক ও অপ্রয়োজনীয় কোন শব্দ বা বাক্য ব্যবহৃত না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। এ অংশে মূল অংশের বিভাজন সংকেত দেওয়া হয়। 
  • ২. মূল অংশ : এ অংশে প্রবন্ধের মূল বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনা করতে হয়। ভূমিকা অংশে দেওয়া সংকেত অনুযায়ী মূল অংশে প্রবন্ধদেহে গতি সঞ্চার হয় এবং বিষয়ের বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে পূর্ণতা আনতে হয়। মূল অংশের সমাপ্তিতে মূলভাবটির সিদ্ধান্তমূলক সমাপ্তির পথ সুগম হয়।
  • ৩. উপসংহার : এ অংশে সিদ্ধান্তের সমাপ্তি টানা হয়। মোদ্দাকথা দু একটি বাক্যে প্রবন্ধের সারকথা তুলে ধরা হয়। দীর্ঘ পথ পরিক্রমণ শেষে একটি সিদ্ধান্তমূলক সমাপ্তি রেখা অঙ্কিত হয়। এ অংশে লেখকের অভিমত, পরামর্শ, আকাঙ্ক্ষা সংক্ষিপ্ত আকারে প্রকাশ পায়।

প্রবন্ধের প্রকারভেদ

ইংরেজি Essay-এর ন্যায় বাংলা প্রবন্ধের বৈচিত্র্য ও বিস্তৃতি হেতু এর স্বরূপ-ধর্ম সাধারণের নিকট সুস্পষ্ট হতে পারে নি। বঙ্কিমচন্দ্রের তথ্য ও যুক্তিপ্রধান রচনা 'বঙ্গদেশের কৃষক' যেমন প্রবন্ধ অভিধা লাভ করেছে, তেমনি রবীন্দ্রনাথের 'নববর্ষা', 'শ্রাবণ সন্ধ্যা', 'পাগল' ইত্যাদি নিছক আত্মভাবমূলক রচনাও প্রবন্ধ শিরোনামায় ভূষিত হয়েছে। সুতরাং দেখা যায়, সাহিত্য নামে সৃষ্ট প্রবন্ধসমূহের চুলচেরা শ্রেণি নির্ণয় অনেক সময়ই দুরূহ হয়ে পড়ে। সমালোচকগণ ব্যাপক অর্থপ্রযুক্ত Essay বা প্রবন্ধকে দু ভাগে বিভক্ত করেছেন। এর একটি হলো Formal বা Objective Essay অর্থাৎ, জ্ঞানগর্ভ বা তথ্যনির্ভর ও বিষয়নিষ্ঠ প্রবন্ধ। 

এ শ্রেণির রচনাসমূহ ইংরেজিতে Dissertation, Discourse, Tract বা Treatise নামে অভিহিত হয়। অপর শ্রেণিটি হলো Informal বা Subjective Essay অর্থাৎ, আত্মভাব প্রধান বা ব্যক্তিগত প্রবন্ধ। ইংরেজি সাহিত্যে এ শ্রেণির প্রবন্ধ Familiar বা Personal Essay নামেও আখ্যায়িত হয়। ব্যক্তিগত প্রবন্ধ বিষয়নিষ্ঠ প্রবন্ধের ন্যায় বিষয়বস্তু সর্বস্ব বা মুখ্য বলে পরিগণিত হয় না। এতে বিষয় বা বক্তব্যই গৌণ হয়ে যায় এবং লেখকের ব্যক্তিস্বরূপই মুখ্যভাবে অভিব্যক্তি লাভ করে। বিষয় যা হোক না কেন, ব্যক্তিগত প্রবন্ধে লেখক নিজেকেই মুখ্যত প্রকাশ করেন বিষয়নিষ্ঠ প্রবন্ধকে সাধারণত নিম্নলিখিত কয়েকটি শ্রেণিতে বিভক্ত করা যায় :

  • বিবৃতিমূলক প্রবন্ধ : যেমন—ঐতিহাসিক বা সমসাময়িক ঘটনা প্রসঙ্গ, খ্যাতনামা ব্যক্তিদের জীবন-বৃত্তান্তমূলক রচনা । 
  • বর্ণনা বা তথ্যপ্রধান প্রবন্ধ : যেমন—বিজ্ঞানের বিচিত্র প্রসঙ্গ, নিসর্গ প্রসঙ্গ, রাষ্ট্র, সমাজ-সংস্কৃতিমূলক রচনা ।
  • তত্ত্ব বিচার বা ভাবনা আশ্রিত প্রবন্ধ : যেমন –ধর্মীয় মতবাদ প্রসঙ্গ, দর্শন তত্ত্বমূলক রচনা ।
  • সমালোচনা বা ব্যাখ্যামূলক প্রবন্ধ : যেমন—সাহিত্য প্রসঙ্গ এবং বিবিধ শিক্ষামূলক রচনা ।

ব্যক্তিগত প্রবন্ধের শ্রেণিবিভাগ অপেক্ষাকৃত জটিল। এ জাতীয় প্রবন্ধকে সাধারণভাবে দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত করে আলোচনা করলে সুবিধা হয়। মোহিতলাল মজুমদার ব্যক্তিগত প্রবন্ধকে 'মনঃপ্রধান' ও 'অন্তরানুভূতি প্রধান' এ দুটি শ্রেণিতে বিভক্ত করেছেন। মনঃপ্রধান ব্যক্তিগত প্রবন্ধে সাধারণত লেখকের বিচিত্র খেয়ালি চিন্তা, ভাব প্রকাশের বিবিধ সুচতুর কৌশল, লঘু হাস্যরস সৃষ্টির মাধ্যমে গুরুগম্ভীর বিষয়ের আলোচনা প্রকাশিত হয় । 

বাংলা সাহিত্যে বীরবল বা প্রমথ চৌধুরীর অধিকাংশ রচনা এ জাতীয় প্রবন্ধের অন্তর্ভুক্ত। এ শ্রেণির প্রবন্ধের প্রধান বৈশিষ্ট্য এই যে, এতে লেখকের একটি স্বতন্ত্র মানসিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভাষার বৈচিত্র্য কলাকৃতিই প্রধান হয়ে ওঠে; ভাব বা চিন্তার কোনো স্থূল আবরণে পাঠক-মন আচ্ছন্ন হয়ে যায় না; বরং লেখকের অভিনব মানসিক বিলাস ও প্রকাশ-চাতুর্য পাঠকের নিকট অত্যন্ত উপভোগ্য হয়ে ওঠে। অন্তরানুভূতি প্রধান ব্যক্তিগত প্রবন্ধ সাধারণত লেখকের অন্তর বা হৃদয়ের সূক্ষ্ম ব্যথা-বেদনা, আশা-আকাঙ্ক্ষা ও মর্মগত বিচিত্র উপলব্ধিতে সমৃদ্ধ 

হয়ে শিল্পীর অঙ্কিত চিত্রের ন্যায় সর্বাঙ্গসুন্দর ও সম্পূর্ণ হয়ে ওঠে এবং উচ্চাঙ্গের সাহিত্যরসে তা প্রাণবন্ত হয় । এ জাতীয় প্রবন্ধের দৃষ্টান্ত বাংলা সাহিত্যে প্রায় বিরল। একমাত্র রবীন্দ্রনাথের কিছুসংখ্যক প্রবন্ধ ও বলেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কোনো কোনো রচনা এ প্রসঙ্গে দৃষ্টান্তস্বরূপ উল্লেখ করা যেতে পারে। পরবর্তী পর্যায়ে বাংলা প্রবন্ধ সাহিত্য সবিশেষ বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে এবং বিবিধ আদর্শের প্রয়োগ ও পরীক্ষা-নিরীক্ষায় উৎকর্ষমণ্ডিত হয়েছে। আধুনিক বাংলা প্রবন্ধে নানা জাতের দৃষ্টান্ত সহজলভ্য।

প্রবন্ধ রচনার ক্ষেত্রে নিম্নলিখিত বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ লক্ষ রাখতে হবে

  • (ক) যে বিষয়ে রচনা লেখবে, সে বিষয়ের উপর চিন্তা করে মনে মনে একটা খসড়া পরিকল্পনা প্রস্তুত করে নিতে হবে।
  • (খ) এক একটি ভাব এক একটি অনুচ্ছেদে (Paragraph-এ) লেখতে হবে এবং প্রত্যেকটি অনুচ্ছেদ যেন মূল বিষয়ের সাথে সংগতিপূর্ণ হয়। (গ) রচনায় প্রচলিত কথা, গ্রাম্য বা অশ্লীল কথা, দীর্ঘ সমাসবদ্ধ পদ ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে।
  • (ঘ) আলোচ্য বিষয়ের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, এমন কোনো বিষয়ের অবতারণা বা আলোচনা হতে বিরত থাকতে হবে।
  • (ঙ) যত কম কথায় বেশি ভাব প্রকাশ করা যায়, রচনার ধরন বা রচনাশৈলী ততই সুন্দর হয়—এ কথাটি স্মরণ রাখতে হবে।
  • (চ) একই রচনায় সাধু ও চলিত ভাষার মিশ্রণ দূষণীয়। এরূপ মিশ্রণ যাতে না ঘটে, বাক্য গঠনের সময় সে সম্পর্কে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে। ছাত্রদের পক্ষে সাধুভাষায় রচনা না লেখাই উচিত ।
  • (ছ) বিষয়বস্তুর উপর রচনার নাম নির্ভর করে। সুতরাং বিষয় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া চাই ।

প্রবন্ধ রচনার দক্ষতা আসবে যেভাবে

প্রবন্ধ রচনায় রাতারাতি কেউ দক্ষতা অর্জন করতে পারে না। এজন্য নিয়মিত অনুশীলনের প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে নিচের নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করা দরকার ঃ

  • নামকরা লেখকদের প্র-বন্ধ পড়া উচিত। লে-খ-ক কী বলেছেন, কীভাবে বলেছেন তা খুঁটিয়ে লক্ষ করা-ভালো। পত্র-পত্রিকায় কোনো বিষয়ে প্র-বন্ধ চোখে পড়লে তা পড়া উচিত। এতে ধারণা বিকশিত হয় এবং শব্দ-ভাণ্ডার বাড়ে ।
  • প্র-বন্ধে কথার ফুল-ঝুরি কিংবা অপ্রয়োজনীয় বাড়তি কথা পরিহার করা উচিত। একই কথা যেন বার-বার বলা না হয়। অল্প কথায় ভাব প্রকাশ করতে হবে। তাতে এই গুণ অর্জনের জন্য সারাংশ-সারমর্ম লেখার অভ্যাস করা ভালো ।
  • অনেক সময় চিন্তামূলক প্র-বন্ধ সংহত কথাকে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিশদ করতে হয়। ভাব-সম্প্রসারণ প্রক্রিয়া আয়ত্ত করলে তা এক্ষেত্রে কাজে লাগে।
  • ভালো প্র-বন্ধ লেখার জন্য ভাষার ওপর সহজ-দক্ষতা থাকতে হয়। সহজ, সরল ও ছোট ছোট বাক্যে প্র-বন্ধ লেখার অভ্যাস করবে। তাতে দক্ষতা আসবে। মনে রাখবে, চিন্তামূলক প্র-বন্ধের ভাষা হবে ভাব-গম্ভীর আর লঘু-প্রবন্ধের ভাষা হবে হালকা চালের। 

  • প্র-বন্ধ রচনায় সবসময় প্রাসঙ্গিক বিষয়, চিন্তা ও তথ্যকেই গুরুত্ব দেবে। মূল বিষয় থেকে কখনও দূরে যাবে না ।

  • ভাষা-রীতির ক্ষেত্রে কখনও চলিত ও সাধু রীতির মিশিয়ে ফেলবে না। আধুনিক কালে চলিত রীতিই প্রাধান্য ও গুরুত্ব পাচ্ছে। তাই চলিত রীতিতে প্র-বন্ধ লেখাই ভালো ।
  • প্র-বন্ধের উৎকর্ষ নির্ভর করে নির্ভুল-বানান ও বাক্যের শুদ্ধ প্রয়োগের ওপর। এ বিষয়ে সব সময় সজাগ ও সতর্ক থাকা দরকার।
  • প্র-বন্ধে প্রাসঙ্গিক ও সংক্ষিপ্ত উদ্ধৃতি এবং প্রবাদ-প্রবচন ব্যবহার করা ভালো। অ-প্রাসঙ্গিক উদ্ধৃতি কখনও ব্যবহার করা উচিত নয় । বেশি বেশি উদ্ধৃতি ব্যবহারও ভালো প্র-বন্ধের লক্ষণ নয়।
  • চিন্তামূলক রচনায় সংকেত-সূত্র উল্লেখ করবে। বর্ণনামূলক রচনায় সংকেত-সূত্র উল্লেখ করার দরকার নেই ।
  • যতটা সম্ভব নিজের ভাষায় সুন্দরভাবে গুছিয়ে নির্ভুলভাবে প্র-বন্ধ লেখার অভ্যাস করতে হবে। এতে দক্ষতা আসবে। কোনো ছক-বাঁধা নিয়মে সার্থক রচনা লেখা যায় না।

প্রবন্ধ রচনার তালিকা ৪০০+টি

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা নিচে তোমাদের জন্য পরীক্ষার সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ প্রায় ৪০০টি রচনার তালিকা শেয়ার করা হলো। তোমারা তোমাদের পছন্দের রচনাটি সহজেই খুঁজে নিয়ে পড়তে পারবে

স্থান বিষয়ক রচনা

  • আমাদের বিদ্যালয় রচনা 1⇒
  • আমাদের গ্রাম রচনা ⇒

  • একটি গ্রাম্য মেলা রচনা ⇒

কৃষিজাত ফসল বিষয়ক রচনা

  • সোনালি আঁশ পাট রচনা 
  • বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান 
  • বাংলা রচনা চা 

ফুল, ফল ও প্রাণী বিষয়ক রচনা

  • জাতীয় ফুল শাপলা রচনা 
  • বাংলাদেশের জাতীয় ফল কাঁঠাল রচনা 
  • বাংলাদেশের ফল রচনা 
  • জাতীয় গাছ আম গাছ রচনা 

  • বাংলাদেশের মাছ রচনা 
  • বাংলাদেশের পাখি রচনা 
  • জাতীয় পশু বাঘ রচনা 
  • জাতীয় পাখি দোয়েল রচনা 

ঋতু পরিক্রমা ও বৈচিত্র্য বিষয়ক রচনা

  • বর্ষায় বাংলাদেশ রচনা ⇒
  • আমার প্রিয় ঋতু শরৎকাল রচনা ⇒
  • আমার প্রিয় ঋতু শীতকাল রচনা ⇒
  • বাদলা দিনে রচনা ⇒

  • বাংলাদেশের ঋতুবৈচিত্র্য রচনা 

  • গ্রীষ্মের একটি দুপুর রচনা 
  • বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দৃশ্য রচনা 
  • একটি বর্ষণমুখর সন্ধ্যা রচনা 
  • বাংলাদেশের নদ-নদী রচনা 
  • বসন্তকাল রচনা 

ব্যাতিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনা বিষয়ক রচনা

  • দেশভ্রমণ প্রবন্ধ রচনা 
  • একটি ঝড়ের রাত রচনা 
  • নদীতীরে সূর্যাস্ত রচনা 
  • একটি চাঁদনী রাত রচনা 

  • ট্রেন ভ্রমণের একটি অভিজ্ঞতা রচনা 
  • আমার জীবনের স্মরণীয় ঘটনা রচনা 
  • চিড়িয়াখানায় একদিন রচনা 

  • নৌকা ভ্রমণের একটি অভিজ্ঞতা রচনা 
  • একটি ছুটির দিন রচনা 
  • হরতালের একটি দিন রচনা 

  • আমার শৈশব স্মৃতি রচনা 
  • বনভোজন রচনা 

প্রিয় ও ব্যাক্তিগত প্রসঙ্গ বিষয়ক রচনা

  • হযরত মহানবী সাঃ এর জীবনী রচনা 

  • আমার প্রিয় কবিঃ কাজী নজরুল ইসলাম রচনা 
  • বই পড়ার আনন্দ প্রবন্ধ রচনা 
  • আমার প্রিয় শখ বাগান করা রচনা 
  • একটি গ্রামে একদিন রচনা 
  • আমার প্রিয় কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য রচনা 
  • আমার প্রিয় শিক্ষক রচনা 
  • আমার প্রিয় মানুষ আমার মা রচনা 
  • বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা 
  • আমার জীবনের লক্ষ্য রচনা 
  • আমার পড়া একটি বইয়ের গল্প রচনা 

কাল্পনিক আত্মকথন বিষয়ক রচনা

  • একটি কলমের আত্মকথা রচনা 
  • একটি সড়কের আত্মকাহিনি রচনা 
  • একটি বইয়ের আত্মকাহিনি রচনা 
  • একটি বটগাছের আত্মকথা প্রবন্ধ রচনা 
  • একটি নদীর আত্মকথা প্রবন্ধ রচনা 

বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষ বিষয়ক রচনা

  • বাংলাদেশের শ্রমজীবী মানুষ রচনা 
  • বাংলাদেশের কৃষক রচনা 

ছাত্র জীবন ও ছাত্র সমাজ বিষয়ক রচনা

  • ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা 
  • ছাত্রসমাজের দায়িত্ব ও কর্তব্য 
  • সমাজ উন্নয়নে ছাত্রসমাজের ভূমিকা 
  • দুর্নীতি দমনে ছাত্র সমাজের ভূমিকা রচনা 
  • দেশ গঠনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা রচনা 

চরিত্র গঠন বিষয়ক রচনা

  • অধ্যবসায় রচনা 
  • শ্রমের মর্যাদা রচনা 
  • স্বদেশপ্রেম প্রবন্ধ রচনা 

  • জনসেবা বাংলা রচনা 
  • শৃঙ্খলাবোধ রচনা 
  • সময়ের মূল্য রচনা 

  • চরিত্র রচনা 
  • শিষ্টাচার রচনা 

  • সত্যবাদিতা রচনা 
  • মা বাবার প্রতি কর্তব্য রচনা 
  • কর্তব্যনিষ্ঠা রচনা 
  • শিক্ষকের প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য রচনা 

খেলাধুলা ও শরীরচর্চা বিষয়ক রচনা

  • বিশ্বকাপ ক্রিকেট-২০১৫ রচনা 
  • আমার প্রিয় খেলা ক্রিকেট রচনা 
  • বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি রচনা 
  • বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৪ রচনা 

  • খেলাধুলার প্রয়োজনীয়তা রচনা 
  • নৌকা বাইচ সম্পর্কে রচনা 

উৎসব ও বিনোদন বিষয়ক রচনা

  • বাংলা নববর্ষ রচনা 
  • বুদ্ধপূর্ণিমা উৎসব রচনা 
  • ঈদ উৎসব রচনা 
  • মহরম রচনা 
  • বড়দিনের উৎসব রচনা 
  • আমার প্রিয় উৎসব দুর্গাপূজা রচনা 

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক রচনা

  • মানবকল্যাণে বিজ্ঞান রচনা 

  • কৃষিকাজে বিজ্ঞান রচনা 
  • কৃষিশিক্ষার গুরুত্ব রচনা 
  • বর্তমান সভ্যতায় বিদ্যুতের ভূমিকা রচনা 

  • কম্পিউটার রচনা 
  • ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনা 
  • চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিজ্ঞান রচনা 
  • মোবাইল ফোন রচনা 

  • যোগাযোগ উন্নয়নে মোবাইল ফোন 

  • মোবাইল ব্যাংকিং রচনা 
  • বিশ্বায়ন বা গ্লোবালাইজেশন রচনা 
  • ইন্টারনেট রচনা 
  • ইন্টারনেট ও আজকের বিশ্ব রচনা 
  • ইন্টারনেট বিশ্বের সেতুবন্ধন রচনা 
  • আধুনিক শিক্ষায় ইন্টারনেট রচনা 

গণমাধ্যম ও যোগাযোগ বিষয়ক রচনা

  • সংবাদপত্র রচনা 
  • টেলিভিশন রচনা 

পরিবেশ রক্ষা বিষয়ক রচনা

খুব শীঘ্রই আসছে

শিক্ষা বিষয়ক রচনা

খুব শীঘ্রই আসছে

জাতীয় দিবস বিষয়ক রচনা

খুব শীঘ্রই আসছে

সমস্যা ও উন্নয়ন বিষয়ক রচনা

খুব শীঘ্রই আসছে

সভ্যতার পরিচয় পুরাকীর্তি বিষয়ক রচনা

খুব শীঘ্রই আসছে

বিবিধ বিষয়ক রচনা

খুব শীঘ্রই আসছে

প্রবন্ধ রচনা নিয়ে শেষ কথা

প্রিয় শিক্ষার্থী বন্ধুরা আশাকরি তোমরা আজকের পোস্টটি পড়ে অনেক উপকৃত হলে। আজকের পোস্টে আমরা বাংলা প্রবন্ধ রচনার সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আজকের পোস্টটি পড়ে যদি তোমাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে সেটা তোমার অন্য বন্ধুদের সাথে শেয়ার করে দিবে এবং এই রকম আরো পোস্ট পেতে নিয়মিত ভিজিট করো আমাদের ফেসবুক পেইজ ও ওয়েবসাইট SEARCH - ACADEMIC FUTURE DREAM IT । ধন্যবাদ সবাইকে

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url
⏳ 00:00