ভাবসম্প্রসারণ: পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি
৬ষ্ঠ, ৭ম, ৮ম, ৯ম, ১০ম, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার জন্য পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি ভাব-সম্প্রসারণ নিচে দেওয়া হলো:
ভাবসম্প্রসারণঃ পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি
মূলভাব: সৌভাগ্য সকলেরই কাম্য। কিন্তু এ সৌভাগ্য অনায়াসলব্ধ নয়। একে অর্জন করতে হলে নিরলস পরিশ্রম ও একনিষ্ঠ সাধনা করতে হয়। তবেই সৌভাগ্যের স্বর্ণশিখরে আরোহণ করা যায়।
সম্প্রসারিত ভাব: সংস্কৃতে একটা কথা আছে- দৈবলব্ধ অর্থের কল্পকাহিনী দুর্বল কাপুরুষের স্বপ্নবিলাস মাত্র। পৃথিবীতে সকল নির্মাণ ও সৃষ্টির পেছনে রয়েছে প্রচুর পরিশ্রম। বিশ্বসভ্যতা আপনা-আপনি গড়ে ওঠেনি। তা গড়ে উঠেছে যুগে যুগে কালে কালে বহু মানুষের নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে। জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে পরিশ্রম করতে হবে। পরিশ্রম ছাড়া জীবনে কখনো সফলতা আসে না। তাই শ্রমকে উন্নতির চাবিকাঠি বলা হয়।
প্রতিষ্ঠা, খ্যাতি, প্রতিপত্তি, সুনাম, মর্যদা ইত্যাদি অর্জনের জন্য পরিশ্রম করা প্রয়োজন। নয়তো ব্যর্থতা এসে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলে। জীবনে অর্থ, বিদ্যা, যশ, প্রতিপত্তি লাভ করতে হলে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। শ্রমবিমুখতা ও অলসতা জীবনে বয়ে আনে নিদারুণ অভিশাপ। যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী সে জাতি তত বেশি উন্নত। জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে একনিষ্ঠভাবে পরিশ্রম করে যেতে হবে। পরিশ্রম ব্যাক্তিকে দেয় প্রতিষ্ঠা আর জাতিকে দেয় আত্নমর্জাদা।
আধুনিক বিশ্বের প্রত্যেকটি উন্নত জাতির উন্নয়নের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় সেসব জাতির প্রত্যেকেই নিরন্তর প্রচেষ্টা ও শ্রম সাধনার বিনিময়ে উন্নতির চরম শিখরে আরোহণ করতে সক্ষম হয়েছে। একমাত্র শ্রমের মাধ্যমেই ব্যাক্তি বা জাতির জীবনে অর্জিত হয় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য। জীবনে সফলতা অর্জন করতে হলে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই। নিরলস শ্রম সাধনায় সাফল্য অর্জনের ফলেই জীবজগতে মানুষ আজ শ্রেষ্ঠত্ব লাভে ধন্য হয়েছে। বস্তুত জগতে মানুষের প্রতিটি সাফল্যের মূলে রয়েছে মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রম ও অধ্যবসায়। পরিশ্রমের সিঁড়ি বেয়েই মানুষ সাফল্যের চূড়ায় ওঠে।
মন্তব্য: পরিশ্রম সাফল্যের চাবিকাঠি । পরিশ্রমই গড়ে দেয় মানুষের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ। যে জাতি পৃথিবীতে যত পরিশ্রমী, সে জাতি তত উন্নত। ব্যাক্তিগত ও সমষ্টিগত পরিশ্রম এবং সাধনাই জাতির সৌভাগ্যের নিয়ামক। তাই বলা হয় পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url